তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে : অধীর চৌধুরী

5th January 2021 6:14 pm বাঁকুড়া
তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে : অধীর চৌধুরী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তৃণমূল দলটাই থাকবেনা'। দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সাংসদ অধীর চৌধুরীর। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরে দলের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা অবনতি, কৃষি আইন, বেকারের কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির  প্রতিবাদ সহ একাধিক দাবিতে এক মহামিছিলে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরো বলেন, যেভাবে ঐ দলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ দল ছেড়ে পালাচ্ছে তাতে স্পষ্ট তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ আর 'দিদি'র হাতে নেই। এই মুহূর্তে বাংলায় বিজেপিকে একমাত্র ঠেকাতে পারে জাতীয় কংগ্রেস। তাই তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী মানুষকে তাদের দলের ছত্রছায়ায় আসার আবেদন জানান তিনি।

  রাজ্য ও কেন্দ্র কোন সরকারই কৃষকদের নিয়ে ভাবিত নয়। তৃণমূল-বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলই এরাজ্যের কৃষকদের নিয়ে 'জুয়া খেলছে' দাবী করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ওরা কৃষকদের নিয়ে ভাবলে দিল্লীর রাজপথে অন্ধোলনের যেমন আন্দোলনের দরকার পড়তোনা, তেমনি এরাজ্যে কৃষকদের দূরবস্থার মধ্যে পড়তে হতোনা।   এদিন কংগ্রেসের এই মহা মিছিল বাঁকুড়া শহরের হিন্দু স্কুল থেকে শুরু হয়ে মাচানতলা ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডে শেষ হয়। অসংখ্য সাধারণ কর্মীর সঙ্গে মিছিলে পথ হাঁটেন অধীর চৌধুরী নিজেও।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।